আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিস্টেম 

আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিস্টেম 

 

 

যে সমস্ত পোল্ট্রি হাউজের মধ্যে সব রকমের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বায়োসিকিউটির শর্তসমূহ সম্পূর্ণ ভাবে পালন করা সম্ভব হয় উহাকে আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিস্টেম বলে। এই হাউজিং সিস্টেমে ডিম পাড়া মুরগী গুলো খুবই উন্নতমানের গ্যালফান খাচার মধ্যে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো অবস্থায় থাকে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন, নিপেলের মাধ্যমে পানিপান, অটোমেটিক খাবার পরিবেশণ এবং অটোমেটিক ভাবে বিষ্টা পরিস্কার আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিস্টেমের অন্তুর্ভূক্ত। আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজ একতলা বিশিষ্ট অথবা বহুতল বিশিষ্ট হতে পারে। একতলা বিশিষ্ট আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিষ্টেমে রক্ষনাবেক্ষন ব্যয় তুলনামুলক ভাবে বহুতল বিশিষ্ট আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজিং সিষ্টেম হতে রক্ষনাবেক্ষন ব্যয় কম। তাই আমরা খরচ কমানো, সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের জন্য একতলা বিশিষ্ট আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইহার সুবিধা সমূহ ঃ-
ক্স ডিম পাড়া মুরগী সমূহ স্বাস্থ্যবান, ভয়মুক্ত ও ফুরফুরে থাকে।
ক্স লেয়ার মুরগীর সন্তোষজনক ওজন নিশ্চিত করে।
ক্স খাবার নষ্ট হয় না, ফলে খাদ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
ক্স পরিবেশ নিয়ন্ত্রনের কারনে, মৃত্যুঝুকি কমে যায়।
ক্স উন্নতমানের তাপনিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা বিদ্যমান।
ক্স রক্ষনা-বেক্ষন সহজ ও ব্যয় কম হয়।
ক্স ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অনেক বৎসর পর্যন্ত উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা যায়।
ক্স কর্মচারী ব্যায় কম লাগে।
ক্স মুরগী এবং মানুষের জন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে।
ক্স পরিবেশ নিয়ন্ত্রীত হাউজিং সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রস্তাবিত প্রকল্প পরিচালনার জন্য মোট ১০৪ জন কর্মচারির প্রয়োজন হবে।
নির্মানাধীন শেডের ধরন নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ-
ক্স ঋধপপড় ওঃষু কোম্পানীর প্রযুক্তি সহযোগীতা নিয়ে প্রস্তাবিত ফার্মের শেডগুলো নির্মান করা হবে ।
ক্স তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রত্যেক শেডের উপড়ে ভিতরের অংশে ঝধহফরিঃযপ ঢ়ধহহবষ ব্যবহার করা হবে।
ক্স নক্সানুযায়ী প্রত্যেকটি শেডের দুই পাশে ২ মিটার উচ্চতা এবং ৩০ মিটার লম্বা কুলিং প্যাড সংযুক্ত থাকবে, বাকী অংশে ৭ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট সাদা/কালো পর্দা দ্ধারা আবদ্ধ থাকবে এবং শেষ প্রান্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রয়োজনীয় সংখ্যক এডজসট ফ্যান সংযুক্ত থাকবে।

বিশেষভাবে উলে­খ্য যে, আমাদের ফার্মে নির্মানাধীন শেডগুলির পত্যেকটি শেড, স্থানীয়ভাবে নির্মিত ডিপ-লিটার পদ্ধত্তির ১০ টি শেডের এবং স্থানীয় খাচা পদ্ধত্তির ৬ টি শেডের সমন্বয়। অর্থাৎ ডিপ-লিটার পদ্ধত্তিতে পালিত ১০ টি শেডের সমপরিমান মুরগী এবং স্থানীয় খাচা পদ্ধত্তিতে পালিত ৬ টি শেডের সমপরিমান মুরগী উলে­খিত শেডে বৈজ্ঞানিক ভাবে লালন পালন করা যাবে।
আধুনিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হাউজের ভিতরে নিম্নবর্ণিত সিস্টেমস সমূহ ব্যবহার করা হবে। যথাঃ-

ইউনিভেন্ট ৬ তলা বিশিষ্ট খাচা ঃ-
আধুনিক যুগে বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মে উন্নত প্রযুক্তিতে ঝুকিমুক্ত ভাবে ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য উলে­খিত খাচা পদ্ধত্তিটি আবিষ্কার করে। বর্তমানে বিশ্বের বহুদেশ এই পদ্ধত্তির খাচা ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতী ব্যবহার পূর্বক ডিম উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে। বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। যথা ঃ – আমেরিকা, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আমাদের দেশেও বিগডাচম্যান কোম্পানীর উৎপাদিত প্রযুক্তিতে প্যারেন্টস্টক মুরগী লালন পালনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের ফার্মে অতি উন্নত মানের মেটাল দিয়ে তৈরী খাচা ব্যাবহার করা হবে। যা গ্যাফান নামে পরিচিত।

এই খাচাটিতে নিম্নোক্ত সুবিধা বিদ্যমান ঃ-
ক্স খাচার প্রত্যেক অংশে হট-ডিপ গ্যালফান এর প্রলেপ দেয়া আছে।
ক্স খাচার ভিতরে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে।
ক্স গ্যালফান প্রলেপের ফলে অধিক টিকসই এবং মরিচা মুক্ত।
ক্স খাচায় পানি পানের উন্নত মানের নিপল ড্রিংকিং সিষ্টেম ব্যবহার করা হয়েছে ও প্রত্যেক ধাপে পানির জন্য ছোট ট্যাংক সংযুক্ত।
ক্স খাচার প্রত্যেক তলায় বিষ্টা পরিস্কারের জন্য কনভেয়ার বেল্ট বসানো আছে।
ক্স চেইন ফিডিং সিষ্টেমের মধ্যমে প্রত্যেকটি মুরগীর নিকট খাবার পৌচানোর পদ্ধত্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্স ডিম সংগ্রহ করার জন্য খাচার প্রত্যেক তলায় কনভেয়ার বেল্ট সংযুক্ত।
ক্স বিষ্টা এবং ডিমের বেল্ট চালনার জন্য খাচার একপ্রান্তে বৈদ্যুতিক মোটরস সংযুক্ত থাকবে।
ক্স খাচার ডায়ম্যানশন অনুযায়ী মোট ৫৬১ বর্গইঞ্চি জায়গা বিদ্যমান।
ক্স প্রতি মুরগীর জন্য নির্ধারিত জায়গা পরিমান ৬২.৩৩ বর্গইঞ্চি।
ক্স উলে­খিত সুবিধা যুক্ত খাচা ব্যবহারে প্রায় ২৭টি ডিম বেশী উৎপাদিত হয়।
ক্স এই সিস্টেম ব্যবহারে মোট ডিমের উৎপাদন ৩১৫/৩২০ টি, ৭২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।

অতএব, বানিজ্যিক ভাবে পরিচালিত লেয়ার ফার্মের নিরাপদ রক্ষনা-বেক্ষন, ও নির্বিঘœ উৎপাদনের জন্য ইউনিভেন্ট ৬ তলা বিশিষ্ট খাচা ব্যবহারের বিকল্প নাই।
ভেন্টিলেশান সিস্টেম ঃ
পোল্ট্রি হাউজের জন্য ভেল্টিলেশান সিস্টেমের ব্যবহার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফার্মের ভেন্টিলেশান নিয়ন্ত্রন বায়োসিকিউরিটির অন্যতম অংশ। এই সিস্টেমের কাজ সমুহ নিম্নরুপ ঃ-
ক্স ভেন্টিলেশানের কাজ হলো এক স্থানের বাতাসকে অন্য স্থানে প্রবাহিত করা অর্থাৎ পোল্ট্রি ফার্মের ভিতরের দুষিত বাতাসকে বাহিরে বের করে দিয়ে পরিশোধিত বাতাস ফার্মে প্রবেশ করানো।
ক্স পোল্ট্র্রি ফার্মের তাপমাত্রা এবং জলীয় বাস্পের পরিমান নিয়ন্ত্রন, অতিরিক্ত মায়েশ্চাইর এবং মুরগী কর্তৃক সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপ শেডের বাহিরে বের করে দেয়া।
ক্স ফার্মের ভিতরে তৈরী দুষিত গ্যাস সমুহ যথাঃ- এমোনিয়া, কার্বনডাই অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন সালপাইড শেড থেকে বাহিরে বের করে দিয়ে অক্সিজেনকে সর্বক্ষনই মুরগীর অনূকুল বরাবর নির্দিষ্ট করে রাখা।
ক্স আধুনিক পোল্ট্রি হাউজের মুরগীর ঘনত্বের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে ভিতরের বাতাস বিপুল পরিমানে বাহিরে বের করে দেয়া।
ক্স ফার্মের মধ্যে ব্যবহৃত ভেন্টিলেশান সিস্টেম লেয়ার মুরগীর শারিরীক সুস্থতা নিশ্চিত পূর্বক কাংখিত উৎপাদন নিশ্চিত করে।
ক্স মুরগীকে আরামদায়ক ও ক্ষতিকারক জীবানুর আক্রমন হতে মুক্ত রাখে।
কুলিং এবং হিটিং সিস্টেম ঃ-
বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য শেডের মধ্যে তাপ-মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা অত্যান্ত জরুরী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কেবলমাত্র বিভিন্ন ঋতুতে তাপ-মাত্রার তারতম্যের কারনে প্রানীর জন্য ক্ষতিকারক ভিবিন্ন রোগ-জীবানুর বিস্তার লাভ করে। অনেক সময় উহা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বিভিন্ন বসতবাড়ী ও বানিজ্যিক খামার সমুহে তাপ-মাত্রা নিয়ন্ত্রের ব্যবস্থা রাখা হয়। সে লক্ষ্যে ফার্মের মুরগী নিরাপদ ও সুস্থ রাখার জন্য আমাদের নির্মানাধীন ফার্মে কুলিং এবং হিটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। কুলিং এবং হিটিং সিস্টেমের সুবিধা গুলো নিম্নরুপঃ-
ক্স বানিজ্যিক লেয়ার মুরগীর জন্য ফার্মে ২০-২২ ডিগ্রী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
ক্স শেডের ভিতরে স্থাপিত থার্মোমিটারের মাধ্যমে কুলিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রিত হয়।
ক্স তাপ-মাত্রা নিয়ন্ত্রনের ফলে লেয়ারের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
ক্স তাপ-মাত্রা নিয়ন্ত্রনের ফলে মুরগী গরম বা ঠান্ডা জনিত কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
ক্স একই রকম তাপ-মাত্রা এবং পারিবেশে থাকার কারনে মুরগী আরামবোধ করে।
ক্স গরমের দিনে হিটস্ট্রোক এবং ঠান্ডার দিনে, ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে মুরগী মারা যায় না।

ম্যানুয়ার ক্লিনিং সিস্টেমঃ
বানিজ্যিক ভিত্তিতে নির্মিত লেয়ার ফার্মের মুরগীর ও হাউজের ভিতরের পরিবেশ রোগ-জীবানু মুক্ত রাখা একান্ত জরুরী। বিষ্টার মাধ্যমে পরজীবি রোগ জীবানু সমুহ মুরগীর দেহে সংক্রমিত হয়ে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া সহ প্রচুর ক্ষতি সাধন করে। ইহা বানিজ্যিক ফার্ম পরিচালনার প্রধান অন্তরায়। আমাদের ফার্মে ব্যবহৃত ম্যানুয়ার ক্লিনিং সিস্টেমটিতে বৈজ্ঞানিক মানসম্মত উপায়ে যথাযথ ভাবে তৈরী করা হয়েছে। নিম্নে উলে­খিত উপায়ে ইহা ফার্মকে ঝুকিমুক্ত রাখবে ঃ –
ক্স কনভেয়ার বেল্ট এর মাধ্যমে মুরগীর পরিত্যাক্ত বিষ্টা পরিষ্কার করা হবে।
ক্স নিয়ন্ত্রিত তাপ-মাত্রার ফলে কনভেয়ার ভেল্টে রক্ষিত বিষ্টা শুকিয়ে যাবে, ফলে কোন প্রকার ক্ষতিকারক বাই প্রডাক্টস্ তৈরী হবে না।
ক্স পরিবেশ নিয়ন্ত্রীত ফার্ম হাউজ হওয়ার ফলে মাছি বা অন্য কোন রোগ-জীবানু সৃষ্টিকারী কীট-পতঙ্গ বিষ্টায় আক্রমন করে পরিবেশ নষ্ট করতে পারবে না।
ক্স কনভেয়ারের উপড় রক্ষিত বিষ্টা শুকিয়ে যাওয়ার ফলে, উহা জৈব সার অথবা মাছের খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
ক্স মুরগীর বিষ্টা পরিস্কারের জন্য কোন প্রকার জনবলের প্রয়োজন হবে না।
ক্স শুকানো বিষ্টা বিক্রয়ের মাধ্যমে আর্থিক মুনাফা লাভ করা যাবে।
ফিডিং সিস্টেমঃ
সঠিক পদ্ধত্তিতে খাদ্য বিতরন বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মকে অর্থনৈতিক উন্নতির উচ্চ শিখরে স্থান করে দিতে পারে। খাবার তৈরীর পর উহা পরিবেশনের যথাযথ ব্যবস্থা ফার্মে না থাকলে খাবারের মান নষ্ট হয়ে যায় এবং উহাতে ক্ষতিকারক রোগ জীবানু দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হয়ে মুরগী অসুস্থ হয়ে পরে ও উৎপাদন মারাত্বক ভাবে হ্রাস পায়। আমাদের ফার্মে ব্যবহৃত ফিডিং সিস্টেমটি আধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক মান সম্মত ভাবে তৈরী। ইহা ব্যবহারের ফলে বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মের উৎপাদন সফলতা নির্বর করে। ফিডিং সিস্টেমের কার্যকারীতা নিম্নে উলে­খ্য করা হলোঃ-
ক্স হুপার/সায়লোতে রক্ষিত খাবার চেইনের মাধ্যমে পত্যেকটি মুরগীর অনুকুল বরাবর পৌছে দিবে।
ক্স খাদ্যে মানুষ বা অন্যান্য কীট-পতঙ্গের ছোয়া লাগবে না, ফলে রোগ জীবানুর আক্রান্তের সম্ভাবনা নাই।
ক্স চেইন ফিডিং সিষ্টেমটি রোগ-জীবানু মুক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে খাবার পরিবেশন করবে।
ক্স ফার্মের পত্যেকটি মুরগী সঠিক পরিমান মত খাবার নির্বিঘœ ভাবে গ্রহন করতে পারবে।
ক্স প্রতি দিন সংক্রিয় ভাবে লেয়ার মুরগীর সামনে ৩/৪ বার খাবার চলে যাবে।
ড্রিংকিং সিস্টেম ঃ
আমাদের নির্মানাধীন প্রস্তাবিত ফার্মে লেয়ার মুরগীকে পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, নিপল ড্রিংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ ভাবে আবদ্ধ পাত্র হতে পরিছন্ন ও ঔষধ মিশ্রিত পানি পাইপের মাধ্যমে খাচার এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত নিরাপদে সঞ্চালিত করা হবে, পাইপে সংযুক্ত নিপলের মাধ্যমে মুরগীর প্রয়োজন মত পরিমিত পরিমান ঔষধ মিশ্রিত পানি পান করবে। যেহেতু পানি সর্বক্ষন আবদ্ধ অবস্থায় পাত্রে থাকবে এবং পাইপের মাধ্যমে পানি সঞ্চালিত হবে, সেহেতু উহাতে রোগ-জীবানুর আক্রমন হবে না। নিন্মোক্ত উপায়ে নিপল ড্রিংকিং সিস্টেম ব্যবহারে ফার্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবেঃ-
ক্স পানি সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় পাত্রে থাকবে, ফলে রোগ জীবানু দ্ধারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ক্স পানি রোগ-জীবানু মুক্ত থাকায় লেয়ার মুরগী সর্বদা সুস্থ্য থাকবে।
ক্স পানিতে মিশ্রিত ঔষধের প্রভাব নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ক্স মুরগীর পরিত্যাক্ত বিষ্টায় বা খাবারে পানি পরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই, ফলে খাবার ও বিষ্টা পচে ফার্মের পরিবেশ দুষিত হবে না।
লাইটিং সিষ্টেমঃ-
লেয়ার মুরগীর ডিম যথা সময়ে উৎপাদনের জন্য আলোর নিয়ন্ত্রন বা লাইটিং সিষ্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উন্মুক্ত ফার্ম হাউজের মধ্যে প্রয়োজনীয় লাইটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয় না। একদিন বয়সের বাচ্চাকে ২৪ ঘন্টা পরিমিত পরিমান আলোর মধ্যে রাখতে হয় এবং পর্যায়ক্রমে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত আলোয় নিয়ন্ত্রন ১৪ ঘন্টায় নামিয়ে আনা হয়। ডিম পারা কালীন সময়ে আলো ১৬ ঘন্টায় স্থির রাখতে হয়। আমাদের ব্যবহৃত পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত শেডে সূর্যের আলোর সামনযস্যতা বজায় রেখে আলো নিয়ন্ত্রন করা হবে।
এগ্ কালেকশন সিস্টেম ঃ-
আমাদের ফার্মে ব্যবহৃত খাচার সাথে সংযুক্ত অটোমেটিক ভাবে ডিম সংগ্রকরা হবে, ফলে লেবার কষ্ট কম হবে। মুরগী ডিম পাড়ার পর কনভেয়ার বেল্ট এর মধ্যে চলে আসবে এবং দিনে দুই থেকে তিনবার ডিমগুলো কালেকশন টেবিলে পড়বে। এয়ার ফ্যান ব্যবহার করে ডিমগুলো পরিষ্কার পূর্বক বাজার করার জন্য প্যাকিং করা হবে।
এলার্ম সিস্টেম ঃ
আমাদের ফার্ম হাউজের প্রত্যেকটি শেডে রক্ষিত লেয়ার মুরগীর নিরাপত্তার জন্য এলার্ম সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। তাপ-মাত্রা এবং বিদ্যুৎ বির্ভ্রাট হলে আলার্ম সিস্টেম তরিত ব্যবস্থা নিবে।
প্রয়োজনীয় ব্যাবসায়িক নিরাপত্তা, অল্প জায়গায় ও কম খরচে অধিক মুরগী পালন, সঠিক রক্ষনাবেক্ষন, বায়োসিকিউরিটি নিয়ন্ত্রন, নির্বিঘœ উৎপাদন এবং পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মত নিরাপদে ও নির্বিবাদে ফার্ম পরিচালনের জন্য আমরা উলে­খিত সিস্টেম সমুহ আমদানীর সিন্ধান্ত নিয়েছি। যাহা দেশীয় ডিপ-লিটার ও খাচা পদ্ধতি হতে অধিকতর উত্তম ও ঝুঁকিমুক্ত।

প্রকল্পে পালিত লেয়ার মুরগীর বিবরণঃ-

দেশীয় চাহিদানুযায়ী ডিম উৎপাদনের জন্য আমাদের নির্মানাধীন প্রকল্পে আমেরিকার বিখ্যাত উন্নতজাতের হাই-লাইন ব্রাউন মুরগী লালন পালন করা হবে। সারা পৃথিবীতে হাই-লাইন ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল উন্নত জাতের লেয়ার বাচ্চা উৎপাদনের সবথেকে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ডিম উৎপাদন শিল্পের উপর এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আমাদের স্থানীয় বাজারে ব্রাউন ডিমের চাহিদা ব্যাপক এবং দামেও সাদা ডিম হতে প্রতি ১০০টি তে ৩০/৪০ টাকা বেশী। হাই-লাইন ব্রাউন মুরগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য ডিম উৎপাদনকারী মুরগী হতে বেশী হওয়ার ফলে আমাদের দেশের প্রায় ৪০% খামারীগণ এই মুরগী পালনের মাধ্যমে ডিম উৎপাদন করে থাকে। এই জাতের হাইলাইন ব্রাউন মুরগী তরুন বয়সে প্রায় ৩০০০টি ডিম্বানু উহার ডিম্ব থলিতে ধারন করে। পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে পরীক্ষার মাধ্যমে আলোর নিয়ন্ত্রনের তারতম্য ঘটিয়ে ৩৬৫ দিনে প্রতি ১৮ ঘন্টায় ১টি ডিম উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। হাই-লাইন ব্রাউন মুরগীর উৎপাদিত ডিমের খোসা বাদামী রঙের, শক্ত এবং সহজে ভাংগে না। ঊনিশ শতকের প্রথম হতে পরীক্ষা নীরিক্ষর মাধ্যমে এই জাতীয় মুরগী ডিম উৎপাদনের জন্য ২১ শতকের উপযোগী করে গড়েতোলা হয়েছে। বাংলাদেশের ভিবিন্ন বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ হাই-লাইন ব্রাউন লেয়ার বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। যথাঃ- কাজী ফার্ম লিঃ ন্যাশনাল হ্যাচারীজ লিঃ, ঢাকা হ্যাচারী লিঃ, প্যারাগন পোল্ট্রি লিঃ ইত্যাদি।

হাই-লাইন ব্রাউন মুরগীর উল্লেখযোগ্য বিষয়
গ্রোইং এর সময় ১৭ সপ্তাহ পর্যন্ত
বেঁচে থাকার হার ৯৮-৯৯%
খাদ্য গ্রহণ (০থেকে ৭২ সপ্তাহ পর্যন্ত) ৪৫ কেজি
১৭ সপ্তাহের মুরগীর ওজন ১.৪৮ কেজি
ডিম পাড়ার সময় ৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত
পিক উৎপাদন হার ৯৪%-৯৬%
হেন-ডে এগস
৬০ সপ্তাহ পর্যন্ত ২৫১ টি
৭৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ৩২৬ টি
৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৩৫৪ টি
হেন-হাউজড্ এগস
৬০ সপ্তাহ পর্যন্ত ২৪৮ টি
৭৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ৩২০ টি
৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৩৪৭ টি
৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত বেচে থাকার হার ৯৫%
(হ্যাচারী থেকে) ৫০% উৎপদন পেতে সময় লাগে ১৫০-১৫৬ দিন
ডিমের ওজন (৩২ সপ্তাহে) গড়ে প্রতিটি ৬২.৩ গ্রাম
ডিমের ওজন (৭০ সপ্তাহে) গড়ে প্রতিটি ৬৬.৯ গ্রাম
ডিমের মোট ওজন
১৮ থেকে ৭৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ২০.৭০ কেজি
১৮ থেকে ৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত ২২.৬০ কেজি
৭০ সপ্তাহে মুরগীর ওজন ২.২৫ কেজি
ডিমের খোসার রং গাঢ় বাদামী
খোসার দৃঢ়তা খুব শক্ত
প্রতি দিন খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ ১০৫ Ñ ১১০ গ্রাম
প্রতি দিন পানি পানের পরিমাণ ১৩০-১৪০ গ্রাম
পালকের রং উপরে লাল নীচে হলুদ
চামড়ার রং হলুদ

খাদ্য ব্যবস্থাপনা
অন্যান্য প্রাণীর মত মুরগীরও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। সাধারণ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সাধারণ খাবার হলেই চলে। আমাদের দেশে দেশী জাতের মুরগীগুলো গৃহস্থের বাড়ীতে আস্তাকুরের আবর্জনা ঘেটে যা কিছু খাবার সংগ্রহ করতে পারছে তা দিয়েই কোন রকমে বেঁচে থাকছে। ফলে মুরগী ডিম পাড়ে কম আর ডিমের আকার হয় খুব ছোট। মাংশের পরিমাণও খুব কম হয়ে থাকে। যথাযথ ভাবে মুরগী পালন করতে হলে এবং এদের থেকে অধিক সংখ্যায় ও আকারে বড় ডিম এবং প্রতি মুরগীতে মাংশের পরিমাণ বেশী পেতে হলে জাত ও বয়স অনুযায়ী খাদ্য দিতে হবে।

আমিষসহ সকল উপাদানসমূহ ও অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে। পুষ্টি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সেই খাদ্যকেই সুষম খাদ্য বলা চলে, যাতে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মত বর্তমান থাকে। খাদ্য পুষ্টি ব্যাপক অর্থে খাদ্যের উপাদানসমূহকে বুঝায়। যথাঃ- শ্বেতসার, আমিষ, স্নেহ, খাদ্য-প্রাণ, ধাতব লবন এবং পানি।

যে সকল মুরগীকে আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা হয়ে থাকে তাদের খাদ্যের ব্যাপারে বিশেষ যতœবান হওয়া আবশ্যক। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যে সকল মুরগী আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা হয়, তাদেরকে বাইরে থেকে পৃথকভাবে ২৪ ঘন্টার জন্য নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে, তাকে রেশন বা খাবার বলে। রেশন ২৪ ঘন্টায় একবার বা বিভিন্ন সময়ে দেয়া যেতে পারে। ভাল উৎপাদন পেতে হলে উক্ত রেশনে খাদ্য উপাদানগুলি সঠিক পরিমাণে ও অনুপাতে থাকতে হবে। এ ধরনের রেশন বা খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে।

আবদ্ধ অবস্থায় পালিত মুরগিকে সুষম খাদ্য না দিলে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে এবং উৎপাদন কমে যাবে। লেয়ার মুরগীর খাদ্য পৃথক ধরনের হওয়া উচিত। কারণ ডিম পাড়া এবং ব্রয়লার মুরগীর খাবারে খাদ্য উপাদাগুলির পরিমাণের তারতম্য রয়েছে। ব্রয়লার মুরগীর দৈহিক বৃদ্ধি খুব তারাতাড়ি হয়। ফলে তাদের রেশনে খাদ্য উপাদানগুলির পরিমাণ একটু বেশী করে দিতে হয়। বিশেষ করে আমিষ ও শর্করা জাতীয় উপাদানের পরিমাণ বেশী দিতে হয।

আমাদের দেশের পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের মালিকগণের বেশির ভাগই পোল্ট্রি পন্য যথা-ডিম ও মাংস উৎপাদন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাহারা শুধু মাত্র ব্যাবসায়িক মুনাফার লাভেই পোল্ট্রি ফিডমিল সমুহ স্থাপন করেছেন। অনেক সময় দেখা গেছে যে, তাদের উৎপাদিত পোল্ট্রি ফিড সঠিক মানসম্মত নয়। পোল্ট্রি ফিড তৈরীর পূর্বে নিম্নোক্ত নিয়মগুলি যথাযথ ভাবে পালন করতে হয় ঃ-
ক্স ভুট্টার দানা অবশ্যই পরিপক্ক ও ছত্রাক মুক্ত হতে হবে।
ক্স খাবার তৈরীর পূর্বে অবশ্যই ভুট্টারদানা পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে।
ক্স সয়াবিন মিলের গুনগতমান সঠিক ভাবে যাচাই করে ব্যবহার করতে হবে।
ক্স সয়াবিন মিল সঠিকভাবে সিদ্ধ বা কুকিং হয়েছে কিনা তা পরীক্ষাকরে ব্যবহার করতে হবে।
ক্স সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াজাতকৃত সয়াবিন মিল দেখতে বাদামী বংঙের হবে এবং গন্ধ বাদামের মত হবে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
ক্স খাদ্যের সাথে মিশ্রিত শুট্কী মাছের গুনগত মান নিশ্চিত হয়ে ব্যবহার করতে হবে। শুটকীমাছ সংরক্ষনের জন্য আফলাটক্সিন ব্যবহার করা যাবে না।
ক্স মিশ্রিত খাদ্যের সকল খাদ্য উপদান সমুহের গুনগতমান যাচাই করে খাদ্য তৈরী করতে হবে।
ক্স প্রস্তুতকৃত খাদ্য যেন গুনগত মান সম্পন্ন ও সুষম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ক্স পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত মুরগীর বয়স এবং পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী খাবার তৈরী করতে হবে।
ক্স খাদ্য সংরক্ষনের জন্য কোন ভাবেই প্রি-জার্ভবেটিব / আফলাটক্সিন ব্যবহার করা যাবে না।

উপরোলে­খিত নিয়ম সমুহ যয়াযথ ভাবে পালন পূর্বক পোল্ট্রি ফিড তৈরী করে বাজারজাত করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম বহির্ভূত ভাবে খাদ্য প্রস্তুত করে বাজরজাত করছে, ফলে পোল্ট্রি ফার্মগুলি মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সঠিক মানের খাদ্য পোল্ট্রি ফার্মে সরবরাহ না করতে পারলে নিম্নোক্ত ক্ষতি সমুহ পরিলক্ষিত হয় ঃ-
ক্স ফার্মের লেয়ার মুরগী অসুস্থ হয়ে পড়বে।
ক্স প্রয়োজনীয় খাবার খেতে অনিহা প্রকাশ করবে।
ক্স বয়স অনুযায়ী কাংখিত ওজন হবে না।
ক্স ডিমের আকার ছোট হবে ও উৎপাদন কমে যাবে।
ক্স খাবার জনিত বিভিন্ন প্রকার অসুখ দ্বারা আক্রান্ত হবে।
ক্স মুরগীর ওজন কমে যাবে এবং মড়ে যাবে।

আমাদের ফার্মে লালন পালন কৃত লেয়ার মুরগী সমুহ সুস্থ-সবল এবং সঠিক কাংক্ষিত উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পোল্ট্রি ফিড নিজস্ব তত্ত¡াবধানে তৈরী হবে। ইহাতে একদিকে যেমন খাদ্যের যথাযথ মান নিশ্চিত করা যাবে অপরদিকে খাদ্য মুল্য স্থানীয় বাজারে প্রাপ্ত সাধারন খাদ্যের চেয়ে কম হবে।

নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য তৈরীর সুবিধা ঃ
ক্স খাদ্য তৈরীর পূর্বে খাদ্যের প্রত্যেকটি উপদান পরীক্ষা করে মানসম্মত ভাবে ব্যবহার করা যায়।
ক্স মুরগীর চাহিদানুযায়ী খাদ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান মিশানো যায়।
ক্স প্রয়োজনীয় ও মান সম্মত ঔষধ-পত্র, খাদ্যের সাথে মিশিয়ে মুরগীকে খাওয়ানো যায়।
ক্স সবসময় টাটকা খাবার খাওয়ানো সম্ভব হয়।
ক্স প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত খাবার খাওয়ানোর ফলে মুরগী অসুস্থ হয় না এবং কাংখিত উৎপাদন পাওয়া যায়।
ক্স ডিমের আকার ছোট হয় না বা খোসা পাতলা হয় না।
ক্স খাবার তৈরীর পর প্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন খরচ কম হয়।
ক্স খাবার প্যাকিং করতে হয় না ফলে উৎপাদন মুল্য কমে যায়।
ক্স কোন মধ্য সত্বভোগির নিকট হতে খাবার ক্রয় করতে হয় না।
ক্স খাদ্যের গুনগতমান ঠিক রাখা যায় ১০০%।

অতএব, নিজস্ব তত্বাবধানে খাদ্য তৈরী রেডিমেড খাবার হতে দামে কম ও নিরাপদ। তাই আমাদের ফার্মের মুরগীর নিরাপত্তা, যথাযথ উৎপাদন নিশ্চিত করা, এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য নিজস্ব উদ্যেগে খাবার তৈরী পুর্বক পরিবেশন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *